Last Updated on 28th July 2018

সেন্ট কিডসের আজকের (২৮ জুলাই ২০১৮) অঘোষিত ফাইনালে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেওয়া বাংলাদেশ গড়েছে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ, ওপেনার তামিম ইকবালের চমৎকার সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৩০১ রানের ভাল সংগ্রহ গড়ে লাল-সবুজের দল। আজকের শতরানের সুবাধে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক সিরিজেই দুটি সেঞ্চুরি তুলে নিলেন দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল। আগের ওয়ানডেতেও হাফসেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। সেন্ট কিটসের আজকের সিরিজ নির্ধারণী শেষ ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তামিম। বাঁহাতি এই ওপেনার সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন ১২০ বলে। তার চোখ ধাঁধানো ইনিংসটি থামিয়েছেন দেবেন্দ্র বিশু। ১২৪ বলে ৭ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ১০৩ রান করেন তামিম।

See also  এশিয়া কাপের পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ! দেখে নিন বাংলাদেশের খেলার সময়সূচী

তিন ম্যাচের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজে সফরকারী যে কোন দলের হয়ে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটি ছিল এতদিন অস্ট্রেলিয়ার ড্যারেন লেম্যানের (২০৫)। আগের দুই ম্যাচে ১৮৪ রান করা তামিম সেটা করে ফেলেছেন ইনিংসের দশম ওভারেই। অবশ্য ইনিংসে বাংলাদেশের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। গত দুই ম্যাচের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে শুরুতে ফিরে যান ওপেনার এনামুল হক, দলীয় ৩৫ রানের মাথায় ৩১ বলে মাত্র ১০ রান করে । অবশ্য এর পরই ব্যাট হাতে দৃঢ়তা দেখান ওপেনার তামিম ইকবাল ও ওয়ানডাউনে নামা সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় উইকেটে এই দুজনের দৃঢ়তায় দল বড় সংগ্রহের পথ দেখে। তারা ৮১ রানের পার্টনারশিপ গড়েই এগিয়ে দেন দলকে। গত দুই ম্যাচে দারুণ দুটি হাফ সেঞ্চুরি করা সাকিব এদিন অবশ্য খুব বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তবে তাঁর ৪৪ বলের ৩৭ রানের ইনিংসটিও বেশ কার্যকর ছিল। এরপর মুশফিকুর রহিম (১২) দ্রুত ফিরে গলেও একপাশ আগলে রাখেন তামিম। ক্যারিয়ারের এগারোতম সেঞ্চুরি করেন আউট হন তিনি। এই বাঁহাতি ওপেনার ১২৪ বলে ১০৩ রান করেই আউট হন।

See also  See who is the most expensive footballer in the world

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাদের মাটিতে ২০০৯ সালে দারুণ সাফল্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। ওয়ানেডে সিরিজ ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ করেছিল সাকিব-তামিমরা। আজ জিতলে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে তৃতীয় এবং তাদের মাটিতে দ্বিতীয় সাফল্য পাবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ২০১২-১৩ মৌসুমের নিজেদের মাটিতে একবার সিরিজ জিতেছিল এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে সেই সিরিজে ৩-২ ব্যবধানে সাফল্য পেয়েছিল লাল-সবুজের দল।