Last Updated on 21st July 2019

প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি র‌্যাংকিং ২০১৮ 

৯০ দশকের উচ্চশিক্ষা

গত শতাব্দীর ৯০ দশকে বাংলাদেশে যখন কোন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না, তখন মাত্র কয়েকটি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বল্প সংখ্যক আসনে উচ্চশিক্ষার জন্য সুযোগ ছিল।তখন স্নাতক লেভেলে স্বল্প সংখ্যক আসনে এডমিশনের জন্য অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে ভর্তির জন্য সমস্যায় পড়তে হত।যেসব ছাত্র-ছাত্রী কোন বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ না পেত, তাদের কলেজে স্নাতক সম্মান বা ২ বছরের স্নাতক প্রোগ্রামে পড়তে হত। মেডিকেল বা প্রকৌশল বিষয়ে পড়তে হলে একই সমস্যা পড়তে হত।

বিদেশে উচ্চশিক্ষা

যেসব ছাত্র-ছাত্রী দেশে পছন্দ অনুযায়ী প্রোগ্রামে লেখাপড়ার সুযোগ পেত না-তাদের জন্য একমাত্র উপায় ছিল দেশের বাইরে গিয়ে লেখা পড়া করা।তারা বিদেশে গিয়ে যে ভাল মানের বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা পড়া করতো তানয়-তারা অতি সাধারণ/ বা নিম্নমানের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হত। এতে যেমন দেশের বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় হত-তেমনি মেধার বিনাশ ঘটতো। তাছাড়া বিদেশে যতসংখ্যাক ছাত্র-ছাত্রী যেত তাদের মধ্যে বেশিরভাগই যেত ভারত, রাশিয়াসহ শিক্ষায় অনগ্রসর দেশসমূহে।

বাংলাদেশে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন

উপরোক্ত বিষয়সমূহ ‍বিবেচনা করে তৎকালিন সরকার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাধ্যমে বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৯২ প্রণয়ন করে। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন-১৯৯২ এর আলোকে দেশে প্রথম প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদন দেয়া হয়। ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের প্রথম প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি

প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বর্তমান হাল-অবস্থা

খন ঢাকাসহ সারাদেশে ৯৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় পাঁচ লাখের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সবকটি একই মানের নয়। শিক্ষার্থীদের জন্য সুযোগ সুবিধা, শিক্ষকদের মান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক লেখাপড়ার মানে অনেক তফাৎ রয়েছে। বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষায় জড়িত প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীই লেখাপড়া করছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে । এসব বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলিই যে ভাল তা নয়, তার মধ্যে হাতে গোনা কয়েকটির মান ‘ভালো’। বাকিগুলোর মান হয় ‘মোটামুটি’, না হয় ‘খুব খারাপ’। এমন চিত্রই উঠে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জরী কমিশনের সাম্প্রতিক এক  তথ্যে।

See also  Public University Ranking in Bangladesh

এছাড়াও রয়েছে বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট বাণিজ্য করার অভিযোগ । অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসে উপস্থিত থাকার উপর কোন বিধিনিষেধ নেই। এডমিশন নেয়ার পর পরীক্ষার সময় সিট দেখে উত্তর পত্রে দেখে দেখে লিখে পাশ করা যায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকায় এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় অলি-গলিতে ভাড়া করা ভবনে কার্যক্রম চালাচ্ছে। এগুলোর মান খুব খারাপ। তাছাড়া বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খন্ডকালীন ও নিম্নমানের শিক্ষকের ওপর নির্ভরশীল। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য ২০১০ সালের আইন অনুযায়ী নিজস্ব ক্যাম্পাস থাকা বাধ্যতামূলক। কিন্তু এ পর্যন্ত অল্প কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ক্যাম্পাসে কার্যক্রম চালাচ্ছে।যেখানে ইউজিসির সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী ভালেমানের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কমে গেছে- সেখানে নতুন অনুমোদন পাওয়া কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় খুবই অল্প সময়ে ১০-১২ হাজার শিক্ষার্থী পেয়েছে-যা অবশ্যই তদন্তের দাবী রাখে, এসব বিশ্ববিদ্যালয় সম্পূর্ণ  ব্যবসায় উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে কিনা, এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আদৌ লেখাপড়া হয় কিনা, পরীক্ষা দেয়া আদৌ প্রয়োজন আছে কিনা অবশ্যই যাচাই করা প্রয়োজন।

See also  Top Private Universities for Civil Engineering in Bangladesh 2025

কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবেনঃ

একজন শিক্ষার্থীকে উচ্চশিক্ষার জন্য অবশ্যই সরকারী বা বেসরকারী যেকোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে হবে। শিক্ষার্থীদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে “সর্টকার্টে উচ্চশিক্ষা নেয়া যায় না” বা “সর্টকাটে পাওয়া সার্টিফিকেট তাঁর কোন কাজে আসবে না”। তাদের অবশ্যই লেখাপড়া করার মানসিকতা থাকতে হবে। যারা সর্টকাটে সার্টিফিকেট পেতে চান-তাদের জন্য পরামর্শ হল “সময় ও টাকা নষ্ট না করে তারা যেন অন্য যে কোন কর্মে নিয়োজিত হয়ে নিজের ও পরিবারের সম্পদ হিসেবে গণ্য হন”। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে যারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চান- তারা যেন নিম্নের কয়েকটি বিষয় অবশ্যই বিবেচনা করেনঃ-

১। বিশ্ববিদ্যালয়টির সরকারের অনুমোদন আছে কিনা।

২। যে বিষয়ে ভর্তি হতে চাচ্ছেন সেটার ইউজিসির অনুমোদন আছে কিনা

৩। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার ও শিক্ষকদের মান কেমন।

৪। পর্যাপ্ত ও আধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ ল্যাব ও লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত বই রয়েছে কিনা।

৫। সাপোর্ট সার্ভিস, গবেষণা, সহশিক্ষা কার্যক্রম কেমন।

৬। যদি ক্লাস করার কোন বাধ্যকাধকতা না থাকে তাহলে অবশ্যই এসব বিশ্ববিদ্যালয় নামধারি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান থেকে দুরে থাকুন।

৭। সরকার কর্তৃক নিয়োগ প্রাপ্ত ভিসি, প্রোভিসি, ট্রেজারার রয়েছে কিনা

See also  Top Colleges under Rajshahi Education Board

৮। বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাস রয়েছে কিনা।

৯। প্রজেক্ট, ইন্টার্ণশীপ ও চাকুরির কোন সুবিধা রয়েছে কিনা।

১০। সর্বপরি বিশ্ববিদ্যালয়টির বিরুদ্ধে ইউজিসির কোন আপত্তি বা রিপোর্ট  রয়েছে কিনা।

১১। ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি পরামর্শ হল তারা যেন অবশ্যই অবশ্যই যেনতেন প্রকারে একটি সার্টিফিকেট অর্জনকেই বড় করে না দেখেন।

ভাল মানের কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা দেয়া হলঃ

র‌্যাংক – বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম

র‌্যাংক#১=   ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি

র‌্যাংক#২=   নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি

র‌্যাংক#৩= ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ

র‌্যাংক#৪=   আহসানউল্লাহ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি

র‌্যাংক#৫=   ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি

র‌্যাংক#৬= ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

র‌্যাংক#৭=   দ্য ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক

র‌্যাংক#৮= আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ

র‌্যাংক#৯=   ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

র‌্যাংক#১০= গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ

র‌্যাংক#১১=ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ

র‌্যাংক#১২=সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি

র‌্যাংক#১৩=ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজি

র‌্যাংক#১৪=ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি

র‌্যাংক#১৫=স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি

উপরোক্ত তালিকা প্রণয়ণের সময় নিম্নের বিষয়সমূহ বিবেচনায় নেয়া হয়েছেঃ

  • শিক্ষণ এবং শেখার নতুনত্ব
  • শিক্ষকদের মান
  • গবেষণার সুবিধাসমূহ
  • ছাত্র-ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা
  • ছাত্র শিক্ষক অনুপাত
  • গ্রন্থাগার ও ল্যাবরেটরিজ
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের আকার
  • চাকরি, প্রকল্প এবং ইন্টার্নশীপ সুযোগ
  • আপডেট কোর্স পাঠ্যক্রম
  • গ্লোবাল অ্যাক্রেডিটেশন
  • ক্যাম্পাস লাইফ
  • ক্রীড়ায় অংশগ্রহণ
  • টিউশন ফি
  • সাপোর্ট সার্ভিসেস
  • ক্যাম্পাস নিরাপত্তা বিশেষভাবে মহিলাদের জন্য
  • স্থায়ী ক্যাম্পাস